কয়েক ঘণ্টায় আঘাত হানছে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় ‘গনি’
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ভেতরেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী (ক্যাটাগরি-৫) ঘূর্ণিঝড় ‘গনি’ ফিলিপাইনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে রোববার সকালে এই ঝড় আঘাত হানবে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় লুজন দ্বীপে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড় গনির কারণে আগামীকাল রোববার (১ নভেম্বর) ভূমিধস হতে পারে ধারণা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সহযোগী ক্রিস্টোফার গো বলেন, ‘কোভিড-১৯ নিয়ে আমরা কঠিন সময় পার করছি। এর ভেতর আরও একটি দুর্যোগ আসছে।
কুইজন প্রদেশের ইনফান্তা শহরের মেয়র ফিলিপিনো গ্রেস আমেরিকা ডিজেডবিবি রেডিওকে বলেন, ‘মূল অঞ্চলগুলোতে ইতোমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী, ভারী যন্ত্রপাতি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আমাদের পর্যাপ্ত তহবিল নেই।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘গনি’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার (৩১ অক্টোবর) কয়েক লাখ মানুষকে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০১৩ সালে হাইয়ানের পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ওই সময় ৬ হাজার ৩০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।
উপকূলীয় ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় মোলাভির আঘাতে ফিলিপাইনে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগই ছিলেন রাজধানী ম্যানিলার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দা। ঘূর্ণিঝড় গনিও একই পথ ধরে এগিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।